মো. হাফিজুর রহমান,তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি: বরগুনা জেলার পূর্বের ৩টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে তালতলীতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও নাগরিক প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার(১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় দিকে জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষায়ক সম্পাদক ফজলুল হক জোমাদ্দারের সভাপতিত্বে নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলোগের সভাপতি মো. রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের আয়োজনে এ সংসদীয় আসনটি পুনর্বহালের দাবিতে বক্তব্য রাখেন,মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সাংবাদিক,সুশীল সমাজ, শিক্ষক, কৃষক, জেলে, রাখাইনসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মু. তৌফিকউজ্জামান তনু, ৩ টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের আহবায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু,বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন মিরাজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিকা নাজনীন,মুক্তিযোদ্ধা আবদুল সত্তার মাস্টার, আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি জাকির হোসেন চুন্নু, কামরুল আহসান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু ছিদ্দিক, জাতীয় পার্টির সভাপতি এইচ এম খলিলুর রহমান, বড়বগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু সালেহ, তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি জসিম উদ্দিন, রাখাইন নেতা মংচিন থান প্রমুখ।
জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বরগুনা-৩ সংসদীয় আসনটি একটি স্বতন্ত্র আসন ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বরগুনা জেলায় সংসদীয় আসন ছিল তিনটি। এর মধ্যে আমতলী-তালতলী উপজেলা নিয়ে ১১২ বরগুনা-৩ আসন। ২০০১ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. মজিবুর রহমান তালুকদারের আকস্মিক মৃত্যুতে এ আসন (আমতলী-তালতলী) থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করে জয়লাভ করেছিলেন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ গঠন ১৯৭৬-এর ৬-এর (২) ধারার প্রশাসনিক কাঠামো, আয়তন, বাস্তবিক অবস্থা ও জনসংখ্যা বিবেচনা না করে শুধু জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসনটি (আমতলী-তালতলী) বিলুপ্তি করে। পরে বরগুনা জেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়। তারা এ আসনটি পুনর্বহালের দাবি জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।